সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
১৪ বছর পর ‘ভুলভুলাইয়া’র ছবিতে অক্ষয় কুমার ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছে র‌্যাব’ উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পর থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ বিরোধী দল নিধনে এখনো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল রাজশাহীর দুই জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ, ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতারের আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রও পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা
বরিশালে বিএনপির শত্রু বিএনপি: সরোয়ারের প্রেসক্রিপশনে চলা বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির নেতাদের স্বেচ্চাচারিতায় সান্টুসহ ৭ নেতার পদত্যাগ

বরিশালে বিএনপির শত্রু বিএনপি: সরোয়ারের প্রেসক্রিপশনে চলা বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির নেতাদের স্বেচ্চাচারিতায় সান্টুসহ ৭ নেতার পদত্যাগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
দেশব্যাপী সাংগঠনিকভাবে বিএনপিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা ও সুসংহত করতে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক গঠনের পরে যত দিন অতিবাহিত হচ্ছে ততই বিএনপির কর্মী সমর্থকদের জন্য বুমেরাং হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতারা। এক এক করে বেড়িয়ে আসছে তাদের বাণিজ্যিক ও নিজস্ব আধিপত্য বিস্তারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট। বরিশাল বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কতিপয় নেতা একে অপরের বিরাগ ভাজন হয়ে পরস্পর পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে নিজেদের আধিপাত্য ও সাম্রাজ্য বিস্তারে উপেক্ষিত হচ্ছে সাধারণ নেতাকর্মীরা। ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পরার পাশাপাশি বিএনপি’র শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি’ই। পছন্দমতো পদ দেয়ার লোভ দেখিয়ে দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজী, উপঢৌকন নেয়া ও একে অপরকে দোষারোপের কারণে ক্রমেই সাংগঠনিকভাবে দূর্বল হয়ে পরেছে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপি। আবার অর্থের বিনিময়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থাকতেও নতুন কার্যালয় উদ্ভোধন করে গ্রুপিং করার নজির বিদ্যমান।
এদিকে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এ্যাড. মুজিবুর রহমান নান্টুর বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতার, অমানবিকতা, খামখেয়ালিপনা ও অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে গত ৭ জুলাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বরিশালের সর্বজনপ্রিয় বিএনপি নেতা এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, শাহ আলম মিঞা, মোঃ আহসান কবির নান্না হ্ওালাদার, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাষ্টার, মোঃ আব্দুস সালাম ও ডেইজি বেগম। পদত্যাগের বিষয়টি তারা অনুলিপি আকারে ই-মেইল যেগে বিএনপির মহাসচিবসহ সাংগঠনিক নেতাদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ মৃধা এ তথ্য জানান।
এক সময়ের ডাক সাইটের নেতা সরোয়ার কমিটি থেকে বাদ পরায় তাঁর নতুন প্রেসক্রিপশন ও কুট কৌশলে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন, আহবায়ক এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুলের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পরেছে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপি। সরোয়ার ছাড়া বিএনপি অচল এমনটাই প্রমাণের জন্য দলের কমিটির আহ্বায়ক বা সদস্য সচিব এমন একজনকে নিস্কৃয় করে রেখে কোন কার্যক্রম যেন সফলতার আলো না দেখে তার ব্যবস্থায় মরিয়া সরোয়ার।
এদিকে আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টুকে বরিশাল জেলা দক্ষিণের সভাপতি করার লক্ষ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরোয়ারের সাথে হাত মিলিয়েছেন বিলকিস জাহান শিরিন। বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিলকিস জাহান শিরিন মেয়র প্রার্থী হবেন আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হবেন সরোয়ার। এক্ষেত্রে কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। সরোয়ার প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে জেলা বিএনপি তার পক্ষে থাকা জরুরী অপরদিকে বিসিসি নির্বাচনে শিরিন প্রার্থী হলে সেখানে সরোয়ারকে শিরিনের প্রয়োজন খুব বেশি। তাই এই দুই নেতা ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বপ্নে জল ঢেলে উভয় উভয়ের পক্ষে কমিটি গঠনে মরিয়া।
বিএনপির দুর্গ খ্যাত বরিশালে বিএনপির ত্যাগী, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত কর্মীবান্ধব নেতা আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁনকে সভাপতি ও শাহীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৪ সালে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ২০২১ সাল পর্যন্ত বলবত থাকলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারে সে জন্য শাহীনকে বাগে নেয় সরোয়ার। সরোয়ারের প্রেসক্রিপশন শাহীন অনুসরণ করায় এবায়েদুল হক চাঁনের একার পক্ষে কোনভাবেই কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কোনো সভা সমাবেশ করতে পারতেন না শাহীনের প্রতিবন্ধকতার কারণে। এর নেপথ্যে হীন রাজনীতি করতেন মজিবর রহমান সরোয়ার।
দলের এই ভঙ্গুর দশা থেকে উত্তরণে ও দলকে ঢেলে সাজাতে পদক্ষেপ নেয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সরোয়ারকে মাইনাস করে বরিশাল মহানগর ও জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন দলের হাইকমান্ড। এতে হাইকমান্ডের উপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয় সরোয়ার। কিন্তু সরোয়ারের রোষাণলে পরে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী থাকা নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের দেয়া নতুন আহবায়ক কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে রাজপথে নেমে পরে। একক আধিপত্য হাত ছাড়া হওয়ায় কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না সরোয়ার। যার ফলশ্রুতিতে বরিশাল জেলা দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত করতে সরোয়ার শুরু করেন নানা কূটকৌশলের অপতৎপরতা। কৌশলে কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক শিরিনের সাথে আতাঁত করেন সরোয়ার।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে সরোয়ারের অনুসারী বিতর্কিত বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কথিত সর্বহারা নেতা মাদক ব্যবসায়ী অহিদুল ইসলাম প্রিন্সসহ সকল নেতাকর্মীরা এখন নতুন করে তরি ভিড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের দরবারে। এমনকি শিরিনের দ্বারস্থ হচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার নিজেও। শিরিন ও সরোয়ারসহ অন্যান্য নেতাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভুমিকা পালন করছেন ছাত্রদলের নেতা শিরিনের সহচর মাসুম।
বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি শক্তিশালী হওয়ায় সেখানে পাত্তা না পেয়ে সরোয়ার ও শিরিনের প্রেসক্রিপশনে আহ্বায়ক মজিবর রহমান নান্টু, সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম কালাম শাহীন দলের তৃণমুলের মতাতমতকে উপেক্ষা করে নিজেদের মনগড়া সিদ্ধান্ত দিয়ে উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি ভেঙে দিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে দলকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির একাধীক নেতা জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থাকতেও উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সাধারণ সম্পদকের পদ দেয়ার শর্তে সেখানকার এক চশমা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিএনপির আরেকটি অফিস উদ্ভোধন করে দলের ভিতর চরম রিরোধ সৃষ্টি করেছেন নান্টু। সেখানে গিয়ে আওয়ামী ঘরানার লোকজনসহ বিতর্কিত নেতাকর্মীদের নিয়ে চশমা বিক্রেতা হারুন সিকদারের যাকাতের কাপড় বিতরন করেন আহবায়ক নান্টু।
গত ৪ জুলাই বানারীপাড়া গিয়ে বর্তমান কমিটির সাথে সুবিধাবাদী লোক দিয়ে গ্রুপিংয়ের চেষ্টা টের পেয়ে সেখান থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের প্রত্যাখ্যান করে বিতারিত করলে রাগে ক্ষোভে সেখানকার পৌর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। একইভাবে ৫ জুলাই উজিরপুর প্রোগ্রামে ব্যার্থ হয়ে উজিরপুর পৌর বিএনপির কমিটিও ভেঙে দেন আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুল। উজিরপুর ও বানারীপাড়া পৌর বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, আহবায়ক কমিটি গঠন না করে উজিরপুর ও বানারীপাড়া পৌর বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রমাণ করেছেন সম্পুর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কমিটি ভেঙে দিয়েছেন এবং দল গঠনে নুণ্যতম যোগ্যতা তাদের নেই। বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপি কমিটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সেই কমিটি ভেঙে না দিয়ে আকষ্মিকভাবে বানারীপাড়া ও উজিরপুর পৌর কমিটি ভেঙে দিয়েছে। তারা বলেন, আটটি সাংগঠনিক সাব কমিটি গঠন করা হলেও তাদের তোয়াক্কা না করে আহবায়ক নান্টু, সদস্য সচিব মেহবুল ও আবুল কালাম শাহীন নিজেরাই সকল সিদ্ধান্ত দিয়ে আসছে। তারা আরও বলেন, সব কমিটি একত্রে আহবায়ক কমিটি গঠন করে দিবে। তা না করে স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের যারা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী তাদের কাছে থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্যই এভাবে সংগঠন পরিপন্থি কাজ করছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন ওই এলাকার নেতা কর্মীরা।
দলীয় একাধিক সুত্র জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী কাউন্সিলে শাহীন সভাপতি ও মেহবুল সম্পাদক পদে প্রার্থী করে যে কোনো মূল্যে বিজয়ী করার সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সরোয়ার তাদের মাঠে নামিয়ে বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীনকে লেলিয়ে দিয়ে সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুলের সাথে জোট করেন। অপরদিকে মুজিবুর রহমান নান্টুকে সভাপতি করার লক্ষ্যে জেলার অধীন সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি যাতে নান্টুর পক্ষ্যে থাকে সেলক্ষ্যে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন শিরিন।
এদিকে দলের নাম ভাঙিয়ে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে আহবায়ক মজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুল এর বিরুদ্ধে। এই দুই নেতাকে আরও বিতর্কিত করতে নেপথ্যে কলকাঠী নাড়ছেন সরোয়ার অনুসারী শাহিন। এদিকে আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব হওয়ার পর পরই মেহবুলের দৈনন্দিন চলাফেরা ও গেটাপ পরিবর্তনের ছাপ রয়েছে সর্বত্র। তৃণমূল কর্মীরা জানান, ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের ডেকের যাত্রী মেহবুল এখন বিমানে যাতায়াত করেন। আগে নিজে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করলেও এখন রয়েছে তার ড্রাইভার। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন কি পরিমাণ চাঁদাবাজি করলে রাতারাতি এমন পরিবর্তন হয়? জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ীকে সদর উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে উপঢৌকন নেয়া আইফোন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান তিনি। কমিটি ঘোষণার কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই ভাঙ্গা ফোনের বদলে নতুন আই ফোন চলে আসে মেহবুলের হাতের মুঠোয়। শুধু ফোন নিয়েই তৃপ্ত নন মেহবুল। মেহবুলের ঢাকা-বরিশাল বিমানের টিকিটসহ যাতায়াত খরচও বহন করতে হয় এক ব্যবসায়ী নেতাকে। এমনকি বরিশাল জেলা দক্ষিন বিএনপির যতো সাংগঠনিক প্রোগ্রাম সম্পন্ন করার সিংহভাগ খরচই বহন করতে হয় তাকে। এভাবে কিছু সংখ্যক নেতাকে পদ পদবী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মুজিবুর রহমান নান্টু ও আকতার হোসেন মেহবুল। কিন্তু ভুক্তোভোগীরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। বাকেরগঞ্জের মনির নামে এক বিএনপি নেতা বলেন, প্রতিটি প্রোগ্রামে চাঁদা কালেকশনের ৫০ হাজার টাকা তিনি একাই তুলে দেন আহবায় নান্টু ও সদস্য সচিব মেহবুলের হাতে। আহবায়ক নান্টু ও সদস্য সচিব মেহবুল তাকে এই টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেন বলে জানান লেখক মনির।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীর পদত্যাগের বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে ভাল বলতে পারবে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন জানান, এটা সাংগঠনিক বিষয়। সাংগঠনিকভাবেই সমাধান করা হবে। এছাড়া অন্য কোন বিষয়ে স্বাক্ষাৎকার দিতে রাজি নয়।
বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টু বলেন, নেতাকর্মীদের পদত্যাগের কোন কাগজপত্র তিনি হাতে পাননি। দেশ নায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপির গঠনতন্ত্রের আলোকে সকল কার্যক্রম চলছে। এবং দলীয়ভাবে চলতে থাকবে। এখানে কারো মনগড়া কার্যক্রম করার সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রোগ্রামে চাঁদা কালেকশনের বিষয়টি সত্য নয়। এমন কথা এই প্রথম শুনলেন। সরোয়ার ছাড়া বিএনপি অচল, এমনটাই প্রমাণ করতে চায় অধিকাংশ নেতা কর্মী। তা জানতে চাইলে বলেন, আসলে এটা সঠিক নয়। ২/১ জন সদস্য আছে তারা তাদের নিজের মত মতামত ব্যক্ত করতেছে। সঠিক হল, দেশ নায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপির গঠনতন্ত্রের নিয়মেই চলছে সংগঠনের সকল কার্যক্রম।
বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেহবুল বলেন, নেতা-কর্মীর পদত্যাগের কোন কাগজপত্র সাংগঠনিকভাবে হাতে পাইনি। লোকমুখে শুনি এবং ফেসবুকে দেখেছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877